স্বপ্নের শেষ
প্রেম সন্ধি
স্বপ্নের শেষ
প্রেম সন্ধি
প্রেমের
ফাঁদে
প্রেমের ফাঁদে পড়লাম আমি, হারিয়ে গেলাম যখন,
তোমার
চোখের চাওয়ায়, খুঁজে পেলাম এক
নতুন স্বপ্নলোকের রতন।
মিষ্টি কথার মায়ায়, মন হারালাম সবে,
প্রেমের
ফাঁদে জড়িয়ে, রইলাম তোমার সাথে।
প্রেম সন্ধি
বট গাছের ফল
বট গাছের শাখায়, নিবিড় ছায়ার মাঝে,
লুকিয়ে থাকে ফল, অমূল্য রত্ন সাজে।
বিরাট বটের বুকে, জীবনের এক ছবি,
সবুজ
পাতার ছোঁয়ায়, স্বপ্নের রবি।
পাতার ফাঁকে ফাঁকে, রঙিন ফলের মেলা,
গল্প বলে নীরবে, ধরা দেয় যে ঢেলা।
লালচে বা সবুজে, রূপের ভিন্ন রঙ,
বট
ফলের মিষ্টিতে, মন পায় যে
ঢঙ।
বটের শিকড়ে বাঁধা, মাটির গভীর টানে,
ফলের মাঝে জীবন, ছড়িয়ে দেয় যে গানে।
মধুর রসে ভরা, স্বাদের এক মায়া,
প্রকৃতির আশীর্বাদ, বটের ফলের ছায়া।
নির্জনতার মাঝে, শান্তির এক ধ্বনি,
বট ফলের মাধুর্য, হৃদয়ে আনে বাণী।
অমৃতের স্বাদে ভরা, মাটির গন্ধে মিশে,
বট ফলের প্রতিটি কণা,
প্রাণের সুখের নিশে।
শতাব্দীর সাক্ষী, বট গাছের ফল,
অকৃত্রিম মাধুর্য, প্রকৃতির সনাতন দল।
বট ফলের গল্পে, জীবনের সেরা গান,
প্রাণের অন্তরে রবে, প্রকৃতির এই দান।
প্রেম সন্ধি
স্বপ্নের লটারি
স্বপ্নের লটারি, রাতের আঁধারে,
মনে হয় যেন, সব
জাগা শুধুই সোনালি স্বাদে।
অলীক রংয়ে আঁকা এক
ছবি,
যেখানে আশা গাঁথে জীবনের
কবিতা রবি।
স্বপ্নের দামে কেনা সব
স্বপ্ন,
যেন অলস মেঘের পথের
যাত্রী আমি,
হাতে ধরেছি একটা স্বর্ণময়
টিকিট,
তাকে ছুঁয়ে সত্যের মিল
খুঁজে পাই।
কখনো স্বর্ণের পাহাড়, কখনো মুক্তার
মালা,
কখনো রাজকুমার, কখনো সুন্দর রাজকন্যা।
চোখ বন্ধ করে, মন চায়, আকাশে উড়ে
যাওয়া,
স্বপ্নের লটারিতে, জিতে নেওয়া স্বর্গ।
যদি জিতেই যাই, যদি
পাই আজ ঐ পুরস্কার,
একটা পৃথিবী সাজাবো, আমার
মতো করে।
খুশির ছোঁয়া হবে প্রতিটি
ঘরে,
স্বপ্নের বীজ রোপণ হবে
সবার অন্তরে।
এই
স্বপ্নের লটারি, এক অদ্ভুত
খেলা,
যেখানে হারলেও, মিলবে আশার মেলা।
বড়-ছোট আশা সব
মিলে হাসে,
স্বপ্নের জগতে হারানোর ভয়
কেবল বাতাসে।
এ এক স্বপ্নের লটারি,
জীবনের গান,
যেখানে সব হারিয়ে, পাওয়া
হয় সম্মান।
যতক্ষণ বেঁচে থাকি, ততক্ষণে
শুধুই আশা,
স্বপ্নের লটারি, জীবনের ভাষা।
স্বপ্নের লটারি,
হারা হলেও চলবে,
নতুন স্বপ্নের বীজ, মনে বুনে রাখবে।
কারণ জীবন যুদ্ধ, লড়াই করে চলতে
হবে,
স্বপ্নের লটারিতে, আবার নতুন করে জিততে হবে।
প্রেম সন্ধি
ভক্তি ছাড়া পূজা, খালি রীতি রেওয়াজ,
মনের গভীর থেকে, আসে না কোনো সুরভী বাজ।
আনুষ্ঠানিক আড়ম্বরে, সাজাই দেবতার ঘর,
কিন্তু হৃদয়ের ডাকে, সাড়া দেয় না অন্তর।
প্রণাম করি মূর্তিতে, ঠাকুরের চরণে মাথা,
তবু মন যেখানে, নেই কোনো সত্য প্রার্থনা।
অঞ্জলির ফুলগুলো, শুকিয়ে যায় নির্বাক,
ভক্তি ছাড়া পূজা, হয়ে ওঠে নিঃস্ব প্রেমের বাক।
প্রতিদিনের নিয়মে, চলি মন্দিরের পথে,
কিন্তু হৃদয়ে ভরে না, সেই পবিত্রতার ছোঁয়ে।
মন্ত্রের উচ্চারণে, থাকে না সঠিক ধ্বনি,
ভক্তি ছাড়া পূজা, হয় শুধুই দেহের গতি।
ভক্তির আবেগ ছাড়া, পূজা ফেলে দেয় আলো,
হৃদয়ের গভীরে না আসে, সেই শান্তির আলো।
ভক্তি ছাড়া পূজা, কেবলই আড়ম্বর,
নিঃস্ব হৃদয়ে থাকে না, কোনো পবিত্রতার প্রণয়।
সত্যিকারের পূজা, হৃদয়ের নিবিড় ভাষা,
ভক্তির ছোঁয়ায় জাগে, প্রাণের স্পন্দনের আশা।
ভক্তি ছাড়া পূজা, রিক্ত আর শূন্য,
হৃদয়ের পূর্ণতায়ই, পূজার মধুর আভাস।
বোবা সমাজ, নিস্তব্ধতার কারাগার,
কত গল্প হারিয়ে যায়, বোবা মানুষের পার।
শব্দহীন হৃদয়েতে, কথার নেই ঠিকানা,
চোখের ভাষায় ভরে ওঠে, বেদনার অন্তরায়।
বোবা সমাজের মাঝে, নিঃশব্দে ক্রন্দন,
ভাঙা স্বপ্নের খণ্ড খণ্ড, মনের অন্তঃপুরে ধ্বংস।
চাহিদার চিৎকার, চাপা পড়ে শব্দহীনতায়,
বঞ্চনার বোবা শৃঙ্খল, বাঁধে কষ্টের মায়া।
বোবা সমাজের পথে, স্বপ্ন দেখে বোবা মানুষ,
মনের গহীনে লুকিয়ে, কষ্টের অভিশাপ।
তবু তাদের চোখে, জ্বলে আশার আলো,
বোবা কণ্ঠের সুরে, খুঁজে শান্তির পালো।
বোবা সমাজ, শুনে না কেউ কথা,
তবু হৃদয় জানে, বোবা মনের ব্যথা।
মুক্তির আশায়, শব্দহীন প্রাণ,
বোবা সমাজের ভীড়ে, খুঁজে নীরব গান।
বোবা সমাজের মাঝে, জাগুক নতুন ভাষা,
শব্দহীন হৃদয়েও, জ্বলে উঠুক ভালোবাসা।
বোবা মানুষের স্বপ্ন, পায় যেন মুক্তি,
বোবা সমাজের বুকে, আসে নতুন শক্তি।
স্বপ্নের শেষ নিস্তব্ধ রাত্রির শেষে , ভোরের আলো ম্লান , কর্মহীন পশ্চিমবঙ্গ, স্বপ্ন গুলো খান খান। আকাশে উড়ছে ধূলা , হতাশার ঝড়ে ...